তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেছেন, প্রতিবাদ করলেই স্টিমরোলার চলবে, চলতেই থাকবে। এই ভয়ে আমরা প্রতিবাদ করতে ভুলে গেছি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ আয়োজিত ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ন্যায্য দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অধিকার : কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। হাফিজউদ্দিন খান বলেন, আজ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। কথা বলার স্বাধীনতা নেই। কেন নেই এ প্রশ্নের উত্তর আমি সরকারি দলের সমর্থক বন্ধুদের কাছেও পাই না। বাঙালির প্রতিবাদের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ’৫২, ’৬৬-তে আমরা প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু এখন কোনো প্রতিবাদ হচ্ছে না। আমি এর জবাব কোথাও পাই না। যারা আন্দোলন করেছেন তাদের কাছেও পাই না। এটি আমার দুঃখ। সবকিছু এভাবে চলতে দেওয়া যায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, আর দেরি করা যাবে না। আমাদের জোরালোভাবে মাঠে নামতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ। কেবল সেমিনারই নয়, মাঠের আন্দোলনও প্রয়োজন। আর এভাবেই সবার কাছে গ্রহণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। মানবাধিকার কর্মী ও নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশি কবির বলেন, কোটা সংস্কারের সঙ্গে জড়িতদের কারও কারও শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। অনেককেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে এমন তথ্য আমরা পাইনি। ফলে সাধারণ নাগরিক হিসেবে দেশে আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
- প্রচ্ছদ
- »
- প্রধান সংবাদ
- »
- আমরা প্রতিবাদ করতে ভুলে গেছি